প্রতিবেদক প্রকাশিত: রবিবার , ২৩ নভেম্বর , ২০২৫
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই দিনের মধ্যে চারবার ভূমিকম্প যা ঘটেছে তাতে মানুষ ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনটি ভূমিকম্প নরসিংদী থেকে এবং একটি ঢাকার মধ্যে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে প্রথম ভূমিকম্প এবং শনিবার (২২ নভেম্বর) বিভিন্ন সময়ে তিনটি ভূমিকম্প দেখা গেল। শুক্রবারের ভূমিকম্প ছিল সর্বাধিক শক্তিশালী।
রিখটার স্কেলে ۵.۷ এর ভূকম্পনের কেন্দ্র ছিল নরসিংদী মাধবদীতে যা ঢাকার ۲۵ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১০ কিমি গভীরের উৎপত্তিস্থলে কম গভীরতার কারণে কাঁপুনিও ছিল বেশি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুভূত ভূমিকম্পের ফলে ১০ জন মারা গেছে—শিশুসহ—এবং ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। একদিকে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার ভূ-চ তি নিয়েও খবর দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, যদি এই ফল্ট সক্রিয় হয়, ভূমিকম্পের মাত্রা ৯ হবে। রাজধানীর ভূমিকম্পেদের পরিণাম বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন—আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও প্রায় ২০টি ভূকম্পনের ফলে ক্ষতি হবে। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে তাৎক্ষণিকভাবে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি নরসিংদীকে ভূমিকম্পের উৎস বলে মনে করেন।
ভূমিকম্প গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেট—ভারত, ইউরেশিয়া ও বার্মা প্লেট—সংযোগস্থলে অবস্থিত। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের গবেষক রুবাইয়াত কবির বলেন, প্লেটগুলো ধীরে ধীরে আটকে থাকা পরিস্থিতি থেকে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট যদি ইউরেশীয় প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় তবে ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হবে। ২০১৬ সালের গবেষণায় গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিচে বিশাল আকারের ‘মেগাথার্স্ট ফল্ট’ বিদ্যমান থাকার বিষয়টি সামনে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত