প্রতিবেদক প্রকাশিত: রবিবার , ২৩ নভেম্বর , ২০২৫
চীনের নতুন বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি হান কুন। বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। হান বলেন, ‘চীনের নতুন বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে এবং উভয় পক্ষ কার্যকরভাবে সহযোগিতা করলে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। সিইএবির ভূমিকা হলো দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা এবং আরও বহুমাত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’
আগামী দশকের বাংলাদেশ-চীন বিআরআই সহযোগিতায় শিল্পবৈচিত্র্য, উৎপাদন প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তালিকা সীমিত হলেও সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- যেমন চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম প্রবেশের অনুমোদন।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছর কাঁঠালসহ আরও কিছু পণ্য অনুমোদন পেতে পারে। তবে আমাদের আরও রপ্তানিযোগ্য পণ্য চিহ্নিত করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল এবং পানিসম্পদ ভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থার মতো অবকাঠামো সহযোগিতা ধীরে ধীরে আরও আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হবে।’
বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিআরআই সহযোগিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে হান বলেন, ‘প্লাটফর্মটি ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুফল দিয়েছে এবং উভয় দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও বিকশিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-চীন বিআরআই সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হতে থাকবে এবং আরও কার্যকর হবে। এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় খাতের উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিআরআইয়ের পরবর্তী ধাপকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরআই কেবল চীন অন্যদের সহায়তা করছে, তা নয়, এটি যৌথ ও টেকসই উন্নয়ন গড়ে তোলার কাঠামো, যেখানে উভয় দেশই উপকৃত হয়।’
সরকারি পর্যায়ের (জিটুজি) প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় বড় প্রকল্পগুলোয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লেগে যায়।’ তিনি বলেন, ‘একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বাংলাদেশে অনুমোদন পায়, এরপর তা চীনে যায়; চীন থেকে ফিরে আবার বাংলাদেশে বিভিন্ন স্তরের অনুমোদন নিতে হয়। এ কারণে জিটুজি প্রকল্পের সময় দ্বিগুণ হয়ে যায়।’
তিনি প্রস্তাব দেন, সময়সীমা বদ্ধ কাজের প্রক্রিয়া বা সেবা আবেদনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা উচিত। এতে দক্ষতা দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।