প্রতিবেদক প্রকাশিত: রবিবার , ২৩ নভেম্বর , ২০২৫
ছোট থেকেই চারুকলা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। আঁকাআঁকির প্রতি ছিল আলাদা টান। কিন্তু স্কুলশিক্ষক বাবা-মা সেই ইচ্ছাটাকে খুব একটা ভালোভাবে নেননি। তাঁদের ধারণা, চারুকলায় পড়লে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তারপরও দুবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি পরীক্ষা দেন, কিন্তু কোনোবারই নির্বাচিত হতে পারেননি রুদ্র রায়।
এই ব্যর্থতা শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও হতাশ করে। আত্মীয়স্বজনের কটাক্ষ, বাবা-মায়ের সহকর্মীদের প্রশ্ন আর তুলনা—সব মিলিয়ে চাপ বাড়তে থাকে। তাঁর প্রেমিকা পর্যন্ত মন্তব্য করেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চেয়ে বিয়ে করে ফেলা ভালো।’ কথাটি রুদ্রকে আঘাত করে। এর মধ্যেই খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। চারুকলার পথ বন্ধ হলেও সেখানেই আরেকটা নতুন পথের খোঁজ পান রুদ্র, থিয়েটার। স্বপ্ন দেখেন একদিন অনেক বড় অভিনেতা হবেন, নাম লেখাবেন সিনেমায়। এ কথা শুনে তাঁর প্রেমিকা বলেছিলেন, ‘এই চেহারা নিয়ে নায়ক! সম্ভব না।’ রুদ্র তখন বলেছিলেন, ‘একদিন টিকিট কেটে আমাকে দেখতে আসতে হবে।’
থিয়েটারে হাতেখড়ি
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বিএল কলেজে থিয়েটার দলের একটি নাটক দেখে নিজের পথ খুঁজে পান রুদ্র। পরের সপ্তাহ থেকেই থিয়েটারে নিয়মিত যেতে শুরু করেন। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতেও যোগ দেন। ব্যাকস্টেজেই সময় যেত বেশি। রুদ্রের কথায়, ‘ব্যাকস্টেজে হাততালি দিতে দিতেই ছয় মাস কেটে যায়। তবে এ সময়ে মঞ্চের শৃঙ্খলা, সময়নিষ্ঠা ও দলগত কাজ শিখি। যা আমার জীবনকে আজ এ জায়গায় নিয়ে এসেছে।’ আস্তে আস্তে কলেজের থিয়েটার দলের হয়ে মঞ্চে নিয়মিত সুযোগ পেতে থাকেন রুদ্র।